ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫ , ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​আধুনিক পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষে তাক লাগলেন মাসুম

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৪-০৭-২০২৫ ১১:১২:১৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ০৪-০৭-২০২৫ ০১:৪৯:১৬ অপরাহ্ন
​আধুনিক পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষে তাক লাগলেন মাসুম সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
উৎপত্তি সেন্ট্রাল আমেরিকায় হলেও বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফলের সর্বাধিক চাষ হয় ভিয়েতনাম ও চায়নায়। ভিয়েতনামের সাথে বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ুর সাদৃশ্যের কারণে দিন দিন বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ড্রাগন চাষ। এর মধ্যে সাতক্ষীরায় ড্রাগন ফল চাষ করে সাড়া ফেলেছেন তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা শেখ আব্দুল্লাহ আল মাসুম। 

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বিদেশি এই ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে অনেকে।তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে উদ্যোক্তা শেখ আব্দুল্লাহ আল মাসুমের ড্রাগনের ক্ষেত। মাসুম বলেন, “প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ করে ৭ বিঘা জমিতে অত্যাধুনিক পাইপ লাইনে বসিয়ে চাষাবাদ শুরু করি। ১৭ হাজার ড্রাগনের চারা লাগানো হয়েছে আমার ক্ষেতে। বিভিন্ন দেশ থেকে আনা পাঁচ প্রকারের ড্রাগনের জাত রয়েছে এখানে।”জাত গুলো হলে- পিং রোজ, ইয়োলো, মরক্কান রেড, আমেরিকান ও দেশী। চলতি বছর ৩০ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে প্রত্যাশা মাসুমের। মে থেকে শুরু করে নভেম্বর মাস পর্যন্ত টানা ফল মেলে গাছ থেকে।মাসুম আরও বলেন, “আমার ড্রাগন ক্ষেতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে অনেকের। তাছাড়া আমার বাগান দেখে অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন ড্রাগন ফলের বাগান করতে। ড্রাগনের রোগ-বালাই কম হয় এবং রাসায়নিক সার কম লাগে। তাই লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি।”

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “সাতক্ষীরা জেলায় অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বিদেশি এই ফল চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ড্রাগন ফলের চাষ বাড়ছে।”তিনি আরও বলেন, “এই ফল চাষে সরকারি সহযোগিতা পেলে চাষিরা আরো বেশি আগ্রহী হবেন।”সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, প্রতি বছর জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় ড্রাগন ফলের চাষ বাড়ছে চলতি বছর ২২ হেক্টর জামিতে ড্রাগন ফলের চাষ করা হয়েছে।ড্রাগন একটি পুষ্টিকর ফল। এতে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এই ফলে।এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হজমে সহায়তা করে, হাড় মজবুত করে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বককে বার্ধক্যের ছাপ থেকে রক্ষা করে।ফলটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং এতে থাকা ভিটামিন বি, ফোলেট এবং আয়রন গর্ভাবস্থায় মায়ের এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ